ফিলিস্তিনের রক্তে রঞ্জিত ইতিহাস: অন্যায়ের বিচার একদিন হবেই!

Akash
385
ফিলিস্তিনের রক্তে রঞ্জিত ইতিহাস: অন্যায়ের বিচার একদিন হবেই!<

যুদ্ধবিরতির সমঝোতা ভেঙে ইসরায়েলি বাহিনী তাদের বিমান হামলা ও স্থল অভিযান পুনরায় শুরু করেছে, যা ফিলিস্তিনিদের জীবনে নতুন করে দুর্ভোগ বয়ে এনেছে। গত ১৫ মাসের এই সংঘাতে ইতিমধ্যে ৪৭,০০০-এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, এবং গাজার প্রায় ৬০ শতাংশ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে।

 

এই নিষ্ঠুর হামলায় শিশু, নারী, বৃদ্ধ—কেউ রক্ষা পাচ্ছে না। প্রতিটি বোমা, প্রতিটি গুলি ফিলিস্তিনের মাটিতে নতুন করে রক্তের দাগ ফেলছে। গাজার ধ্বংসাবশেষে আটকে পড়া মানুষের আর্তনাদ আমাদের মানবতার বিবেককে নাড়া দেয়। ধ্বংস হয়ে যাওয়া ভবনগুলোর নিচে চাপা পড়েছে স্বপ্ন, আশা এবং ভালোবাসা।

 

এই সংঘাত শুধু ফিলিস্তিনের নয়, এটি সমগ্র মানবজাতির জন্য লজ্জার। যেখানে শিশুরা নিরাপদে ঘুমাতে পারে না, যেখানে মায়েরা তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত, সেখানে আমরা কেমন পৃথিবী গড়ে তুলছি?

 

শুধু নেতানিয়াহুই নয়, যারা এই নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডকে সমর্থন করেছে, তাদের সবাইকে একদিন ন্যায়ের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। বিচার হবে সকল জুলুমের, প্রতিফল পাবে প্রতিটি অন্যায়ের সহায়তাকারী। সত্য ও ন্যায়ের আদালতে কেউ দায় এড়াতে পারবে না।

 

শুধুমাত্র নামাজ, রোজা, হজ্ব, যাকাতই ইসলাম নয়।
ইসলাম মানে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা, জুলুমের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো, নিপীড়িতদের পাশে থাকা। ইসলাম আমাদের শিখিয়েছে—অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো ঈমানের অঙ্গ। আমাদের দায়িত্ব শুধু ব্যক্তিগত ইবাদতে সীমাবদ্ধ নয়, বরং অবিচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোও ইসলামের শিক্ষা।

 

আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি—তিনি যেন ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মানুষদের রক্ষা করেন, তাদের জন্য ন্যায়ের দুয়ার খুলে দেন। তিনি যেন আমাদের সবাইকে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানোর তাওফিক দেন।

Comments (0):

You must be logged in to comment on this post. Login or Register
How can I assist you?
WhatsApp